Admin প্রকাশিত: মঙ্গলবার , ৩ জানুয়ারী , ২০২৩
‘প্রতি মঙ্গলবার মেট্রো ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে’—নীল কাগজে কালো কালি দিয়ে মোটা হরফে এমন বিজ্ঞপ্তি সাঁটানো রয়েছে মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশনে ঢোকার ফটকে।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে মঙ্গলবার যে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে, তা অনেকের জানা ছিল না। তাই অনেকেই আজ মেট্রোরেলে চড়ার উদ্দেশ্যে রাজধানীর আগারগাঁও স্টেশনে ভিড় করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁদের হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়েছে।
আজ সকালে আগারগাঁও স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, প্রবেশ-ফটকের কেচি গেট বন্ধ। ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধের নোটিশ পড়ছেন আগত ব্যক্তিরা।
ভ্রমণ-ইচ্ছুক ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ কেউ নোটিশটি নিয়ে স্টেশনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। মেট্রোরেল চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁরা ফিরে যান।
আজ সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এক ঘণ্টায়—এমন শতাধিক ব্যক্তিকে আগারগাঁও স্টেশন থেকে ফিরে যেতে দেখা যায়।
ফিরে যাওয়া ব্যক্তিরা বলেন, মঙ্গলবার যে মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ থাকবে, এই ঘোষণার বিষয়টি তাঁরা জানতেন না। মেট্রোরেলে চড়তে শরীয়তপুর থেকে ঢাকার আগারগাঁও স্টেশনে এসেছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। সঙ্গে স্ত্রী সালমা আক্তার, দুই ছেলে অভি ও শিহাদ। আব্দুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, গত কয়েক দিন ধরে তিনি টেলিভিশনে দেখেছেন, মেট্রোরেলে চড়ার জন্য ভিড় পড়ে যাচ্ছে। লোকজন সারি ধরে টিকিট কাটছে। তাই ঝক্কি এড়াতে তাঁরা সাতসকালেই ঢাকায় এসেছেন। ঢাকায় আসতে ১ হাজার ৭০০ টাকা খরচ হয়েছে। সকালে নাশতাও করেননি। কিন্তু এখন দেখছেন, আজ মেট্রোরেল বন্ধ। আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আজ মেট্রোরেল বন্ধ থাকবে, এমন কোনো নির্দেশনা আমার চোখে পড়েনি। যদি জানতাম, তাহলে শীতের মধ্যে এত কষ্ট করে টাকাপয়সা খরচ করে ঢাকায় আসতাম না। কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল, এই বিষয়টি আরও ভালো করে সাধারণ মানুষকে জানানোর ব্যবস্থা করা।’ মেট্রোরেলে চড়তে এসে ফিরে যাওয়া ব্যক্তিরা বলছেন, মঙ্গলবার সাপ্তাহিক বন্ধের বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করা হয়নি। কেউ কেউ আবার বলেন, শুরুতে মেট্রোরেল নিয়ে মানুষের মধ্যে অনেক উৎসাহ-উদ্দীপনা রয়েছে। তাই শুরুর দিকে প্রতি দিনই মেট্রোরেল চালু রাখলে ভালো হতো। ধানমন্ডির শংকর থেকে স্ত্রী, ছেলে ও মাকে নিয়ে সকাল ৮টার দিকে আগারগাঁও স্টেশনে এসেছিলেন সানজিদুল আলম। কিন্তু মেট্রোরেল বন্ধ থাকায় ফটকের বাইরে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে পরিবারটিকে ফিরে যেতে হয়।