• ঢাকা
  • শনিবার , ১২ অক্টোবর , ২০২৪
Logo

আধুনিক চাষাবাদে জাকিরের সাফল্য

Admin প্রকাশিত: মঙ্গলবার , ৩ জানুয়ারী , ২০২৩

শেয়ার করুনঃ
আধুনিক চাষাবাদে জাকিরের সাফল্য

বঙ্গোপসাগর উপকূলে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের অবস্থান। ইউনিয়নের চারদিকেই ছোট-বড় অসংখ্য নদ–নদী। বছরের অধিকাংশ সময় ফসলি জমি থাকত পানির নিচে। লবণাক্ততার কারণে ফসল বলতে ছিল শুধু আমন ধান। সেই জমিতে এখন সারা বছর ফসলের চাষ হচ্ছে। ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামেই চোখে পড়ে সবজির খেত। সারা বছরই চাষাবাদে ব্যস্ত থাকেন চাষিরা। জেলার চাহিদা মিটিয়ে এসব সবজি যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

নীলগঞ্জ সবজি চাষে সাফল্য ও আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়েছে জাকির হোসেনের (৪০) হাত ধরে। তাঁর বাড়ি নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারা গ্রামে। ছোটবেলায় কৃষিকাজে আগ্রহ ছিল না তাঁর। ঢাকায় নির্মাণশ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। সেখানে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বাড়িতে চলে আসেন জাকির। একপর্যায়ে বাড়ির পাশে সবজি চাষ শুরু করেন তিনি। তবে গ্রামে মিষ্টি পানির অভাব ছিল। যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না থাকায় সবজি বিক্রি করতেও ঝামেলা পোহাতে হতো। এসব সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় খুঁজতে থাকেন জাকির। ইউটিউবে গ্রিনহাউস মডেলের বিষমুক্ত সবজির পাশাপাশি ভিনদেশি সবজি আবাদের উদ্যোগ নেন। এতে সফলতা পান জাকির।

দেশ স্বাধীন হওয়ার আগের কথা। লোনাপানির কারণে আমন আবাদেই কৃষকের হিমশিম খেতে হতো। সবজি চাষের কথা তো চিন্তাই করা যেত না। মিঠাপানির ব্যবস্থা ছিল না। গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত পাখিমারা ক্লোজার খালের পানিও ছিল লবণাক্ত। এই অবস্থায় মিঠাপানি সংরক্ষণের জন্য সরকারি উদ্যোগে খালে বাঁধ দেওয়া হয়। খালে পানি ওঠানামার জন্য বাঁধের বিভিন্ন অংশে ৯টি জলকপাট নির্মাণ করা হয়। স্বাধীনতার পর নীলগঞ্জ ইউনিয়নের এলেমপুর গ্রামের কয়েকজন কৃষক প্রথমে সবজি চাষের উদ্যোগ নেন। তবে তাঁদের সেই উদ্যোগ তেমন সফল হয়নি।

জাকির হোসেন ২০১৩ সালে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া এক একর জমি নিয়ে সবজি চাষ শুরু করেন। প্রথমে সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করেন। এতে মিঠাপানির সংকট দেখা দেয়। এই অবস্থায় তিনি এলাকার কৃষকদের একত্র করে পাখিমারা খালে অকেজো জলকপাটসহ বিভিন্ন স্থানে বাঁধ দিয়ে মিঠাপানি সংরক্ষণ করেন। এরপর সবজি চাষে সফলতা আসতে থাকে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে গ্রিনহাউস মডেলের আদলে বাঁশ-স্টিলের কাঠামো তৈরি করে পলিথিনের ঢাকনি দিয়ে সবজি চাষ শুরু করেন। আবাদ করেন বোম্বাই মরিচ, তিন ধরনের ফুলকপি, টমেটো, গাজর, লেটুসপাতাসহ আরও কিছু সবজি। জাকির হোসেন বলেন, ‘প্রথমে আশপাশের কৃষকেরা এই পদ্ধতি দেখে তামাশা করতেন। কিন্তু সাফল্য পাওয়ায় অন্যরা এতে উৎসাহী হন। এখন এলাকার তিন শতাধিক কৃষক এই পদ্ধতিতে সবজি চাষ করছেন। এসব সবজি ও ফসলের দাম বেশি। কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। আমি আরও এক একর জমি বর্গা নিয়ে চাষ করছি। চাষাবাদের জন্য এলাকার কৃষকেরা আমার কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন।’

Admin
শেয়ার করুনঃ

এই বিভাগের আরোও খবর

  • আল্লাহর ওপর ভরসা করলে যে পুরস্কার পাবেন
    আল্লাহর ওপর ভরসা করলে যে পুরস্কার পাবেন
  • সেনেগালে ১ লাখ ২০ হাজার কপি কোরআন বিতরণ সৌদি আরবের
    সেনেগালে ১ লাখ ২০ হাজার কপি কোরআন বিতরণ সৌদি আরবের
  • সন্ধ্যাবেলায় দোয়া করার গুরুত্ব
    সন্ধ্যাবেলায় দোয়া করার গুরুত্ব
  • আত্তাহিয়্যাতু কখন, কিভাবে পড়তে হয়
    আত্তাহিয়্যাতু কখন, কিভাবে পড়তে হয়
  • বর্ণাঢ্য আয়োজনে ইমামকে বিদায়, ১৫ লাখ টাকা সম্মাননা
    বর্ণাঢ্য আয়োজনে ইমামকে বিদায়, ১৫ লাখ টাকা সম্মাননা
  • খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে হাদিসে যা বলা হয়েছে
    খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে হাদিসে যা বলা হয়েছে
  • বাহারি পিঠা নিয়ে দক্ষিণ সিটির উৎসব
    বাহারি পিঠা নিয়ে দক্ষিণ সিটির উৎসব
  • গ্রীষ্মকাল। মাঝেমধ্যে বিরতি দিয়ে বাতাস বয়। বাড়ির দক্ষিণ দিকে ছিল ধানখেত। একটু দূরেই কীর্তনখোলা নদী
    গ্রীষ্মকাল। মাঝেমধ্যে বিরতি দিয়ে বাতাস বয়। বাড়ির দক্ষিণ দিকে ছিল ধানখেত। একটু দূরেই কীর্তনখোলা নদী
Logo